পরিভাষাহীন: অভিষেক
আমরা কারা?
দুই নগ্ন দেহ, এক আলিঙনে...
নাকি দুই আত্মা, এক নতুন প্রেমের গল্পের উদ্দাপনে?
আমরা নোংরা, আমরা ত্যাজ্য।
হ্যাঁ, তাই তো, কিন্তু শুধুমাত্র এই অন্ধ সমাজের চোখে।
আর ঈশ্বরের কাছে?
আমরা শ্বাশত, আমরা জীবন্ত।
সত্যিই কি তাই? আমরাতো অস্তিত্বহীন, আমরাতো পরিভাষাহীন।
আমি তো পরিভাষা চাইনি।
তাহলে কি চেয়েছো তুমি?
এক সময় হয়ত ভালবাসতে চেয়েছিলাম,
এখন শুধু ঈশ্বর হতে চাই।
ক্ষমা করতে চাই, নিজেকে, তোমাকে,
এই অন্ধ সমাজকে, প্রেম করার মতন হৃদয় হয়ত আর নেই আমার,
তাই শুধুই করুনা দিতে চাই।
আর সাহস!! সাহস আছে??
সেই সাহস কি খুঁজে দেবে আমাদের এক নতুন পরিভাষা!
আমরাতো আর কিছু খুঁজছিনা!
আমরাতো পেয়ে গেছি,
আমি তোমাকে, তুমি আমাকে, এই অন্ধকার সংসারকে।
তাহলে থাক না, আমাদের পরিভাষাহীন এই প্রেম, অন্ধকার সংসারে নগ্ন হয়েই থাক, পাপ হয়েই থাক।
কিন্ত তাতে কি কারুর মঙ্গল হবে না?
আমি তো কারুর মঙ্গল কামনা করিনি।
তাহলে যে আমরা মঙ্গলময়ী ঈশ্বর হয়ে উঠতে পারবো না, ক্ষমা করতে পারব না।
হয়ত ঈশ্বর হওয়া আমাদের এই নোংরা, পাপী শরীরের ভাগ্যেই নেই।
আমরাতো প্রেম করেছি, পাপতো করিনি।
তাহলে আমাদের প্রণয় কি ওই পাথরের মন্দিরে খোঁদাই করা হবে?
সে নাই বা হোক, আমরা যে তাহলে শুধুমাত্র এক পাথরের মূর্তি হয়ে রয়ে যাবো।
আমরা যে আর জীবন্ত ঈশ্বর হয়ে উঠতে পারবো না।
আমি তো পূজো চাইনি, আমাদের প্রেম থাকবে পূজোহীন, পরিভাষাহীন,
বিলুপ্ত, আর এই অন্ধ সমাজের চোখে অদৃশ্য।
আচ্ছা আমরা যদি আবার হারিয়ে যাই এই সংসারে?
আমাদের আত্মা একে অপরকে খুঁজে পাবে, সঙ্গে থাকবে,
এই আলিঙনে প্রেম প্রতিষ্ঠা করবে।
আমাদের সেই প্রতিষ্ঠা কি পারবে, ঈশ্বেরর কাছে পবিত্র হয়ে উঠতে?
ঈশ্বরতো অন্ধ নয়!
আমাদের প্রেম তার কাছে এক নতুন পরিভাষা নিয়ে পরিচিত হয়ে উঠবে।
তাই হোক, এই অন্ধ সমাজে না হয় আমরা পরিভাষাহীনই রইলাম, ত্যাজ্য রইলাম।
কিন্ত এক সঙ্গে, এক প্রেমের আলিঙনেই রইলাম।
তুমি চিন্তা করছো কেন? আমরা ঈশ্বরের কাছে পবিত্র হয়ে উঠবো।
আমাদের সব পাপ মুছে যাবে, এই প্রেমের আলিঙনে আমরা
এক নতুন ঈশ্বর হয়ে উঠবো।
এক নতুন পরিভাষা খুঁজে পাবো।
খুঁজে পাবো এক নতুন ঈশ্বর, এক নতুন প্রেমের পরিভাষা।
©অভিষেক
সমালোচনাকারী বা ক্রিটিকস হবার ধৃষ্টতা দেখাইনা, হেতু নিজের সীমাবদ্ধতা! নিতান্তই "সাধারণ" এক সাহিত্যের রস আস্বাদনকারী হিসাবে পরিচিত হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সাধারণের চোখে সাহিত্যরথীদের সৃষ্টির দর্পনস্বরুপ এই--"সাহিত্যানুশীলন".... আমার সমাশক্তির আখড়া।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
সাহর- শাহরিয়ার খান শিহাব
#পাঠপ্রতিক্রিয়া: "বড় হুজুর বলেন, 'শয়তান কাউকে নিজের দলে আসতে বাধ্য করে না। করতে পারেও না, সেই ক্ষমতাও তার নাই। সে শুধু আহবান করে, ফ...
-
~সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (১৯০৩ – ১৯৭৯) এবং সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী (১৯১৪ – ১৯৯৯): একটি তুলনামূলক পাঠ~ লেখক: মনোয়ার শামসি সাখাওয়াত ব...
-
প্রথমেই বলব, "যাযাবর" এর "দৃষ্টিপাত" সার্থক নামকরণ৷ কেননা, যাযাবর হিসাবে.. দেশ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থা, রীতি-নী...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন