মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

"ভালোবাসার সঞ্জীবনী" - সাহিত্য//সৈকত

"ভালোবাসার সঞ্জীবনী"

একসময় ধরেই নিয়েছিলাম, এ দুনিয়ায় আমার হয়তো কোনো soulmate বা প্রাণসখী নেই ।

থাকলেও তার দর্শন যে এখনো পাওয়া হয় নেই।
কিন্তু তুমি দেখা দিয়ে আমার সে ধৃত ধারণা মিথ্যা প্রতিপন্ন করলে।

যাকে দেখলে মন শান্ত হয়- সেই সুন্দর।

সে হিসেবে তুমি অতীব সুন্দর। তাই তোমায় দেখে আমার প্রথম কথাটাই ছিলো, মাশাল্লাহ্।

ভালোবাসার ব্যাপক সংগা আমার জানা নেই ।
তবে এটুকু জানি,
ভালোবাসতে শিখলে আপেক্ষিক দুনিয়াটা অনেক বেশি রঙিন মনে হয়;
হৃদয় গান গায়;
হৃদয়ের ভেতর থেকে কারও জন্য একটা খুব টান অনুভূত হয়।

তোমায় দেখে আমার এ সবটাই হয়েছিলো।

যদি একে সত্য ভালোবাসা হিসেবে মানো-
তো আমায় বরণ করে নিও।
আর যদি মোহ হিসেবে নাও-
তবে তাকেও আমি ভালোবাসা বলে প্রমাণ করে দিবো।
.
তোমায় দেখেছি ক্ষণকালের জন্যে ।
হয়তো সময়টা ছিলো এক সেকেন্ড বা তার চেয়েও নগন্য।
তখনো বুঝিনি আমি- কি দেখিলাম এ ধরায় আজি।
বুঝেছি এখন সাঝে - খুব করে এ হিয়ার মাঝে।

তোমার ব্যাপক উপস্থিতি এ হৃদয়ে তোলে আজ প্রশান্তের ঢেউ।
তার বিশালতায় ডুবেছি আমি, ভেসেছি অথৈ জলে-
তুমি ছাড়া উদ্ধারের নেই আর কেউ।

সে ঢেউ বড়ই ভয়াবহ, উশৃঙ্খল অথচ শান্ত,গুরুগম্ভীর।
তার উন্মত্ততায় এ হৃদয় আজ দুমড়ে-মুচড়ে একাকার।
তবুও সে আহত হৃদয়ের ভাষা তোমার কানে পৌঁছায়নি যে একটিবার!
.
জীবনে দেখেছি প্রথমবার-
যা চেয়েছে এ শান্ত মন অশান্ত হয়ে বারংবার।

দেখেছি তোমার রূপ, তোমার মাধুর্য;
শুনেছি তোমার প্রশংসা, যত ঐশ্বর্য।
হাজারও সাধুবাদ বুঝি কম পড়বে তোমার ঐ রূপের কাছে-
সুন্দর চাঁদটাও মুখ লুকাবে- তারও যে কলঙ্ক আছে।
.
তোমায় ভাবছি আর লিখছি
আর ক্ষণেক্ষণে ফেলছি দীর্ঘশ্বাস-
সে নিঃশ্বাস বাতাসে বিক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ করে তোমায় নিয়ে আমার যত উন্মাদনা, যত উচ্ছ্বাস।

আমার প্রতিটা শ্বাস প্রমাণ করে দুই যুগের তরে তোমায় দেখা না পাওয়ার শত আক্ষেপ, শত ব্যর্থতার প্রতিধ্বনি।
আবার ক্ষণিকেই প্রশান্তিময় প্রশ্বাসে সে আক্ষেপ প্লাবিত হয়ে উচ্চারিত হয় তোমায় দর্শনের জয়োধ্বনি।
.
তুমি আমার কাছে এমনই-
খুব ভালো থাকা কিংবা মন্দ থাকার বিপরীত মিশ্র অনুভূতি;
কখনো তা সজীবতা আনে
কখনোবা ধুম্রজালের আপেক্ষিকতায় খুঁজে পাই না ভালো থাকার কোনোই মানে।

তুমি আমার বেঁচে থাকার নিদারুণ প্রাণশক্তি,

হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় এক অদ্ভুত সঞ্জীবনী।   
.
-সাহিত্য//সৈকত

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মনে থাকবে? -আরণ্যক বসু

মনে থাকবে?
-আরণ্যক বসু



পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক

আমরা তখন প্রেমে পড়বো

মনে থাকবে?


বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে

শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;

সন্ধে হলে বসবো দু'জন।


একটা দুটো খসবে তারা

হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার

চোখের জল গড়াবে,


কান্ত কবির গান গাইবে

তখন আমি চুপটি ক'রে দুচোখ

ভ'রে থাকবো চেয়ে...

মনে থাকবে?


এই জন্মের দূরত্বটা পরের

জন্মে চুকিয়ে দেব

এই জন্মের চুলের গন্ধ পরের

জন্মে থাকে যেন

এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের

জন্মে থাকে যেন

মনে থাকবে?



আমি হবো উড়নচন্ডি

এবং খানিক উস্কোখুস্কো

এই জন্মের পারিপাট্য সবার

আগে ঘুচিয়ে দেব


তুমি কাঁদলে গভীর সুখে

এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব....

মনে থাকবে?


পরের জন্মে কবি হবো

তোমায় নিয়ে হাজারখানেক গান

বাঁধবো।

তোমার অমন ওষ্ঠ নিয়ে

নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে

গান বানিয়ে__

মেলায় মেলায় বাউল

হয়ে ঘুরে বেড়াবো...

মনে থাকবে?



আর যা কিছু হই বা না হই............

পরের জন্মে তিতাস হবো

দোল মঞ্চের আবীর হবো

শিউলিতলার দুর্বো হবো

শরৎকালের আকাশ দেখার__

অনন্তনীল সকাল হবো;

এসব কিছু হই বা না হই

তোমার প্রথম পুরুষ হবো

মনে থাকবে?



পরের জন্মে তুমিও হবে

নীল পাহাড়ের পাগলা-ঝোরা

গাঁয়ের পোষাক ছুড়ে ফেলে

তৃপ্ত আমার অবগাহন।

সারা শরীর ভ'রে তোমার হীরকচূর্ণ

ভালোবাসা।

তোমার জলধারা আমার

অহংকারকে ছিনিয়ে নিল।




আমার অনেক কথা ছিল

এ জন্মে তা যায়না বলা

বুকে অনেক শব্দ ছিল__

সাজিয়ে গুছিয়ে তবুও ঠিক

কাব্য করে বলা গেল না!


এ জন্ম তো কেটেই গেল অসম্ভবের

অসঙ্গতে

পরের জন্মে মানুষ হবো


তোমার ভালোবাসা পেলে

মানুষ হবোই__ মিলিয়ে নিও!



পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...

বলতে ভীষণ লজ্জা করছে

ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে



পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...

মনে থাকবে?

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

Koi Tum Se Pooche Kon Hon Main Tum Keh Dena Koi Khas Nahi


Poet Zeeshan Waqar
Koi Tum Se Pooche Kon Hon Main,?
Tum Keh Dena koi Khas Nahi,
Ek Dost Hai Kacha Pakka Sa,
Ek Jhoot Hai Aadha Sacha Sa,
Jazbat Ka Chupa Ek Parda Sa,
Ek Bahana Hai Acha Sa,

Jeevan Ka Ek Aisa Sathi Hai Jo Door Ho K Pas Nahi,
Hawa Ka Ek Suhana Jhonkha Hai,
Kabhi Nazuk To Kabhi Toofano Sa,
Shakal Dekh Kar Jo Nazrain Jhuka Le,
Kabhi Apna To Kabhi Begano Sa,
Zindgi Ka Ek Aisa Humsafar,
Jo Samandar Hai Par Dil Ko Pyas Nahi,
Ek Humsafar Jo Dil Ki   Un Kahi Batain Keh Jata Hai,
Yadon Mein Jis Ka Ek Dhundla Chehra Reh Jata Hai,
Youh To Us K Na Hone Ka Ghum Hamesha Satata Hai,
Par Kabhi Kabhi Aankhon Se Aansu Ban K Beh Jata Hai,


Yuh rehta toh mere tassavur me hai,
Par in aankho ko uski talaash nahi.


Koi Tum Se Pooche Kon Hon Main,?
Tum Keh Dena Koi Khas Nahi,
Ek Dost Hai Kacha Pakka Sa...............!

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বিদায়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিদায়
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও।
তারি রথ নিত্যই উধাও
জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন,
চক্রে-পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।
ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল–
তুলে নিল দ্রুতরথে
দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে
তোমা হতে বহুদূরে।
মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
পার হয়ে আসিলাম
আজি নবপ্রভাতের শিখরচূড়ায়,
রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ নাহি;
দূর হতে যদি দেখ চাহি
পারিবে না চিনিতে আমায়।
হে বন্ধু, বিদায়।
কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে,
বসন্তবাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,
সেইক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রাণের প্রান্তে; বিস্মৃতপ্রদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
হয়তো ধরিবে কভু নামহারা-স্বপ্নের মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সব চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়,
সে আমার প্রেম।
তারে আমি রাখিয়া এলেম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশে।
পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে
কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু, বিদায়।
তোমার হয় নি কোনো ক্ষতি
মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃত-মুরতি
যদি সৃষ্টি করে থাক, তাহারি আরতি
হোক তব সন্ধ্যাবেলা।
পূজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লানস্পর্শ লেগে;
তৃষার্ত আবেগবেগে
ভ্রষ্ট নাহি হবে তার কোনো ফুল নৈবেদ্যের থালে।
তোমার মানসভোজে সযত্নে সাজালে
যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়,
তার সাথে দিব না মিশায়ে
যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।
আজও তুমি নিজে
হয়তো বা করিবে রচন
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন।
ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
হে বন্ধু, বিদায়।
মোর লাগি করিয়ো না শোক,
আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক।
মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।
উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
সেই ধন্য করিবে আমাকে।
শুক্লপক্ষ হতে আনি
রজনীগন্ধার বৃন্তখানি
যে পারে সাজাতে
অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ-রাতে,
যে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি,
এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
তোমারে যা দিয়েছিনু, তার
পেয়েছ নিঃশেষ অধিকার।
হেথা মোর তিলে তিলে দান,
করুণ মুহূর্তগুলি গণ্ডূষ ভরিয়া করে পান
হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম।
ওগো তুমি নিরুপম,
হে ঐশ্বর্যবান,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান;
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু, বিদায়।
– বিদায়

ভালবাসার যত রূপ...।।

ভালবাসার যত রূপ...।।
সাহিত্য (আবদুল্লাহ আল মামুন)



আজোও বুঝিনি - ভালোবাসা কি!
এখন হয়ত বুঝি।

ভালোবাসা মানে, প্রিয় মানুষের ভালোলাগাগুলো.. আনমনে ভালো লাগা।
তার ভালোলাগার কাজগুলো করা।

তার চোখে চোখ রেখে, আমার জন্যে তার
হৃদয়ের গভীরতা অনুভব করা।

ভালোবাসা মানে - মনের মানুষকে সবসময়
কাছে পাবার নি:শব্দ কামনা।
কাছে পেলে... কাঙ্খিত মুহুর্তটাকে স্মরনীয় করে রাখা।
আর না পেলে??

না পেলে... নি:সঙ্গ মুহুর্তের মধ্য দিয়ে.... তার অভাব, মর্ম, কদর অনুধাবন করা।
তার জন্যে অনেক অনেক
শুভকামনা করা।

ভালোবাসা মানে- একলা ঘরে আমাকে দেয়া প্রিয় মানুষটার মূল্যবান উপহারগুলোতে হাত বুলানো।
তার ব্যবহৃত জিনিষগুলোর দিকে তাকিয়ে,
তাকে অনুভব করা।
আর তার আবেশে তাকে যেমন দেখতে...
তা কল্পনায় নিরুপন করা।

ভালোবাসা মানে- চলন্ত বাসে পাশের ফাঁকা সিটটাতে...
প্রিয় মানুষের স্পর্শ অনুভব করা।
ভালোলাগার আবেশে অনেক দূরের যাত্রাও..
কাছের মনে হওয়া।
ক্লাসে...!!!
ক্লাসে পাশের ফাঁকা বেঞ্চটাতেও তার উপস্থিতি অনুভব করে,
তার দিকে তাকিয়ে থাকা।
আর রিক্সায় পাশাপাশি বসে, তার ঘ্রাণে মেতে থাকা।

ভালোবাসা মানে- খাবার সামনে নিয়ে হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে যাওয়া।
প্রিয় মানুষটা খেল কি না!!! তা জানার জন্যে নিজের মনের সাথেই কথা বলা।
এক টেবিলে বসে, এক সাথে খাবার ইচ্ছে জাগা।


ভালোবাসা মানে- অবসরে প্রিয়জনের কন্ঠের মধুরতা, আর কথার মিষ্ঠতা স্মরণ করা।
শত ব্যস্ততার মাঝেও..
তার মিষ্টি মুখের মিষ্টি হাসি হঠাৎই মনে পড়ে
স...ব গ্লানি মুছে যাওয়া।


আমায় বিশ্বাস কর, মন থেকে বলছি-
তোমায় নিয়ে আমার অনুভূতিগুলোর সম্পর্কে,
আমি এক চুলও মিথ্যে বলিনি।

শুধু পাওয়া মানে ভালোবাসা কিনা, কিংবা
না পাওয়ার মাঝেই ভালোবাসার মর্মার্থ নিহিত কি না, তা আমি জানি না।
ওসব জানতেও চাই না।

আমি বিশ্বাস করি-
ভালোবাসা থাকে হৃদয়ের অন্তরালে,
মনের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে বাঁধা।


জেনে রেখো............
সে বন্ধন যদি সত্য হয়!
তবে সারা পৃথিবী আমাদের বিপক্ষে গেলেও, মিলবো দুজনে স্রষ্ঠার অসীম কৃপায়।

তাই ভালোবাসা মানে,
নিজের সর্বস্ব দিয়ে মনের মানুষটিকে জয় করা।
আর এর চুড়ান্ত পরিনতি, তাকে অর্জন করা।

হোক সে অর্জন,
ইহোলোক বা পরোলোকের...
অনন্ত মহালগ্নে......!

সাহর- শাহরিয়ার খান শিহাব

#পাঠপ্রতিক্রিয়া: "বড় হুজুর বলেন, 'শয়তান কাউকে নিজের দলে আসতে বাধ্য করে না। করতে পারেও না, সেই ক্ষমতাও তার নাই। সে শুধু আহবান করে, ফ...