বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মারিবার হলো তার সাধ- সুস্ময় সুমন



একটা দীর্ঘ সময় লকডাউন এর জন্যে লাইব্রেরী ছিল বন্ধ। যখন খোলে, যথারীতি হামলা চালাই। এবং বাংলা বইয়ের তাকটা বোধহয় একাই খালি করি। নিজের কার্ড (কারণ ২৪টির বেশি আমাকে আর ইস্যু করছিলনা) এবং সুমি ভাবির লাইব্রেরীর কার্ড নিয়ে লোভীর মতন বগলদাবা করি মোট ৩০ টির মতন বই। এর মধ্যে একখানা হচ্ছে "মারিবার হলো তার সাধ।"


সুস্ময় সুমন এর সাথে পরিচয় এই বইয়ের দ্বারা। "আঁধারের জানালাটা খোলা" এবং "যে ছিল অন্তরালে" এই দুটোও জোগাড় করেছি, লাইনে আছে। সে যাক গে, এই বইয়ের একটু আভাস শুধু শেয়ার করেছিলাম। থ্রিলার প্রেমীদের সাড়া পাই সঙ্গে সঙ্গেই। প্রথম পূর্বাভাস এর পাতাতেই লেখক লেখেন, "প্রিয় পাঠক, হাত-পা গুটিয়ে বসুন। শুরু হতে যাচ্ছে শ্বাসরুদ্ধকর কু‍‍‌ৎসিত এক প্রতিশোধের গল্প"। আমি সত্যিই একটু জমিয়ে বসি।

গল্পের গতি সাবলিল, চমৎকার, গ্রিপিং টাইপ। ক্লাইমেক্স এর জন্যে একদম শেষ অবধিই অপেক্ষা করতে হয়েছে। নৃশংসতার দৃশ্যগুলো আসলেই ভয়াবহ। মানুষের মনের অন্ধকার জগত, অসুস্থ মানসিকতা সত্যিই এমন ভয়াবহ হয়। পড়ার সময় মনে হয়েছিল, একসময় কেউ বোধহয় জিজ্ঞেস করেছিল আমায়, ভুতের ভয় আছে কি না আমার। উত্তর ছিল, আমি ভুতের চেয়ে বেশি "মানুষ"কে ভয় পাই! কারণ একটি মানুষ, আরেকটি মানুষকে ঠান্ডা মাথায় ১৬/১৭ টুকরো করতে পারে!


লেখকের এখন পেশা নাটক নির্মাণ। আমি বোধহয় এখনো তার কোন নাটক দেখেনি। কিন্ত ভালো লাগবে, উনি যা লিখেছেন এই বইয়ে, এইরম কাহিনী দিয়েই চমৎকার ওয়েব সিরিজ বাংলাদেশে নির্মাণ সম্ভব। মনে মনে তো কাস্টিংও করা হয়ে গিয়েছে আমার। গল্পে "তাহিতির" চরিত্রটি শেষ অবধি ... থাক স্পয়লার দেয়া ঠিক হবে না।


সুখ পাঠ্য অবশ্যই।


বই: মারিবার হলো তার সাধ
লেখক: সুস্ময় সুমন
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৯০
রেটিং: ৪/৫

#সাহিত্যানুশীলন

গিলগামেশ- জাহিদ হোসেন

"যা চলে গেছে, তা কি কখনো আর ফিরে আসে?"
ঈশ্বরের মুখোশ" এর দ্বারা পরিচয় এই লেখকের সাথে। লেখক বলেই নিয়েছেন মহাকাব্যের পরিনতি ঘটতে যাচ্ছে, ছোট খাটো এক উপাখ্যানে, কাজেই অল্পতেই খেল খতম টাইপ কিছুই নেই। এবং সেটা দেখিয়েছেনও।

কাহিনীর গতি হঠাতই মনে হবে, কোথাও একদম পাল্টে গেল, কিন্তু নাহ। সুত্রপাত এর সাথে মধ্যখানের সংযোগ সাংঘাতিক ছিল। ফ্ল্যাশব্যাক ছিল দূর্দান্ত।

শেষের দিকে মনে হলো একটু কেমন জড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খারাপ লাগা বিন্দুমাত্র ছিলনা। সাসপেন্স ছিল, ছিল থ্রিলার, ভয়াবহতা। মিথোলজির মিশেলতো এক অন্য দুনিয়াতে নিয়ে যায়, যার ছাপ আমার এডিটেড বুকোগ্রাফিতে স্পষ্ট।

"লুপ্ত ধর্মাচার" জর্জ লুকাসের বই গুগল করে অস্থির, যার রেফারেন্স লেখক দিয়েছেন তার বইতে। কিন্ত ঘেঁটে দেখার পর জানতে পারলাম এটি নেহাতই তার কল্পনাপ্রসুত। মানে সেইই পর্যায়ের। এর জন্যেই রেটিং বাড়িয়ে ৫/৫ দিতে একটুও দ্বিধা করিনি। 

সৈয়দ শাহ ফতেহ গিল, জাদুকর কর্নেল কালাহান, দুটি দারুন চরিত্র।

"চোখের বদলে নিকষ কালো আঁধার ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে", কেমন একটা অদ্ভুত ভয় লাগা অনুভূতি।

এই সর্তকবার্তা সক্কলের জন্যেই...

"মনে রেখো গিলগামেশ, শিকারও একসময় শিকারীতে পরিনত হয়, আর শিকারী শিকারে।"

সুখপাঠ্য নি:সন্দেহে।

বই: গিলগামেশ
লেখক: জাহিদ হোসেন
পৃষ্ঠাঃ ৪৬৪
রেটিং: ৫/৫



#সাহিত্যানুশীলন

সাহর- শাহরিয়ার খান শিহাব

#পাঠপ্রতিক্রিয়া: "বড় হুজুর বলেন, 'শয়তান কাউকে নিজের দলে আসতে বাধ্য করে না। করতে পারেও না, সেই ক্ষমতাও তার নাই। সে শুধু আহবান করে, ফ...